ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা কার্ডের নামে অর্থ আত্বস্বাদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে অত্র ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দায়ছারা গ্রামে।
অভিযোগ কারীদের একজন ৮নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দায়ছারা গ্রামের বেপারি বাড়ির অসুস্থ্য শাহাজাহান (৬৫)। তিনি দীর্ঘ দিন অসুস্থ্য আর বয়সের ভারে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, শিশুকাল থেকেই আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য ছিলাম। এখন আমার শরীরের যে অবস্থা একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলে ঔষুধ বড়ি খেয়ে বেঁছে থাকতে পারতাম। সে জন্যই বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য পাশ্ববর্তী ৬নং ওয়ার্ডের ইছাপুরা হাজী বাড়ির যুবলীগের নেতা ইয়াছিন পাটোয়ারীকে অনুরোধ করি।
তিনি আমাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিবেন বলে কথা দেন। বিনিময়ে তিনি আমার কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সমাজসেবা অফিসের খরচের জন্য ৬ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। তাতেও আমি রাজি হই। পরে আমি কয়েকজনের কাছ থেকে হাওলাত করে ইয়াছিনের সহযোগী মাছ বিক্রেতা আব্বাস মীর সিডুর কাছে ৩ হাজার টাকা দেই। কার্ড দেওয়ার পরে আরো দুই হাজার টাকা দিতে হবে বলে সাক্ষী করা হয়। কিন্তু গত তিন বছর চলে গেলেও অদ্যবধি আমাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মাছ বিক্রেতা আব্বাস মীর সিডু এপ্রতিনিধিকে জানান, শাহজাহান বেপারী অত্যন্ত অসুস্থ্য মানুষ। আমার এখানে কিছুই করার ছিলনা, তিনি শুধু আমার কাছে টাকা দিয়েছেন ইয়াছিন পাটওয়ারীকে পৌছে দেওয়ার জন্য। আমি তাই করেছি। কিন্তু ইয়াসিন পাটওয়ারী অদ্যাবধি শাহাজান ভাইকে বয়স্ক ভাতার কার্ডটি করে দেয় নাই। এটি খুবই দুঃখজনক।
অপরদিকে একই এলাকার বাবুল বেপারী, হাছান বেপারী সহ আরও কয়েকজন জানান শাহজাহান অত্যন্ত গরীব লোক। তাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইছাপুরা হাজী বাড়ির ইয়াছিন পাটওয়ারী ২/৩ বছর আগে টাকা নিয়েছে সেটা আমরাও জানি। কিন্তু এখনো শাহজাহানকে কার্ড করে দেওয়া হয় না এটা সত্যিই দুঃখজনক বিষয়।
অভিযোগের বিষয়ে ইয়াছিন পাটোয়ারী সাথে মোঠ ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তর কারো কাছ থেকে কখনো ভাতার বই করে দেওয়ার নাম করে কোন টাকা নেয় নাই। ফরিদগঞ্জ সমাজসেবা অফিসের কোন কর্মচারী কর্মকর্তার বিষয়ে এই ধরনের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।