Light এর জীবন চক্র ইমাউল হক পিপিএম
কক্সবাজার প্রতিনিধি
চোখের কোন আলো নেই।কোন বস্তু থেকে আলো আসলে তখন সে বস্তু দেখা যায়।চোখ শুধু দেখে।কিন্তু বিজ্ঞানের আলো আর সমাজবিজ্ঞানের আলো আলাদা।
“লাইট”” একটা সমাজের আলো ছিল।যেখানে ছিনতাই ছিল নিয়মিত,খুন হলে ধরা যেত না। হত্যা করে খুনিরা মদ পান করত ।মদ খেয়ে কাসি হলে ফেনসিডিল সিরাপ খেত।তাতে পেট খারাপ হলে ইয়াবা খেত।খুদা নিবারনে সেবন করত হেরোইন।আর পানি পিপাসায় তারি বাংলা চোয়ানি।আর উত্তেজিত হয়ে অভিসার কাটাত পাড়ায় পাড়ায়
।
প্রাচীন ঐ সমাজের মানুষ সকালের ঘুম থেকে উঠে যেত নেশার বাজারে।লাইটের বাড়ী একটু উঁচু বলে সবাই জানত পাঁচ ক্লাস পাশ লাইটের বাড়ী।
“”
লাইট”” ঘুম থেকে উঠে নদীরপানি দিয়ে গোসল করে চিড়া মুড়ি খেয়ে জমি চাষ করে সন্ধ্যা বেলায় মুদির দোকানে বসত। এভাবে মহল্লার কিছু লোক কে আলোর দিকে আনল।তাতে বাকি লোকের মদ গাঁজা,ফেনসিডিল,ইয়াবার দোকানে লস হতে লাগল।
দশটি কলাগাছ আর একটি আম গাছের বাগানকে তো কলা বাগানই বলে।তাই ঐ সমাজে লাইটের আলোর মূল্য দেখে বিধি বাম।
সব নেশার লোকজন রাতে “লাইটে””র দোকানে মদ গাঁজা,ফেনসিডিল,হেরোইন রেখে মেইনসুইচ কে ডাকল।
বিচারে সেখানে শুধু নেশা খোর দের দেহ থেকে আলো আসতে দেখা গেল।মেইনসুইচ “”লাইটের”” মাথা নাড়া করে ঘোল ঢালার আদেশ দিল।
লাইট”” কে বলা হল অন্ধকারের পথিক।সে শুধু বলল মেইনসুইচ আমি তো আপনার কথায় আপনার বাড়ীতে শিক্ষা নিয়ে এখানে আলো দিতে এসেছিলাম।
মেইনসুইচ বলল সেটা তো ঘরের মধ্যে বলেছিলাম।লাইট”” বলল এত প্রদীপের নীচে অন্ধকার।তখন মেইন সুইচ লাইটের লাইন কেটে দিল।।চারপাশে অন্ধকার নেমে আসল।হৈ হৈ রৈ রৈ লাইটের আলো গেল কই!