প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৫০০ টাকা পেলো ১ নং গাজীপুর
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজীর পরিবার বর্গ
এস আর শাহ আলম
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়ন চেযারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু গাজীর বিরুদ্বে নানাহ অভিযোগ প্রকাশ করেছেন ইউপি মেম্বার সহ ওয়ার্ডবাসি,
তার সাথে প্রধানমন্ত্রীর করোনার উপহার হিসেবে হত দরিদ্রদের ২৫০০ টাকা পেলেন ক্ষোধ চেয়ারম্যানের পরিবারবর্গ,
যেমন মোঃ আবুল কালাম, কৃষক, পিতা হাবিবুর রহমান গাজী,অথচ তিনি গাজীপুর মনিপুর স্কুলের দপ্তরি , ফিরোজ আলম কৃষক পিতা হাবিবুর রহমান মিসেস মনোয়ারা বেগম পিতা হাবিবুর রহমান গাজী,
সুমন গাজী পিতা মৃত খাজা আহামেদ, , সহ আত্বিয় স্বজনরা, এছারা মাতৃত্বা ভাতা ৯ হাজার টাকা করে চেয়ারম্যানের পরিবার বর্গের স্ত্রী, মেয়ে ছেলে বৌ বোন সহ ১৫ জন নিয়মিত ভাতা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ আসে , ঈদের পূর্বে সমাজ কল্যান অফিসের মাধ্যম ভাতা গুলি উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ করেন ইউপি কয়েকজন মেম্বার,
১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মন্টু হাওলাদার ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরু মৃর্ধা, ১২৩ এর খাদিজা বেগম, ৮ নং মেম্বার মনসুর আহমেদ, ৯ নং আব্দুল হাই ৭-৮-৯ নং মোসাম্মদ রাবেয়া বেগম ও ৪ নং ওযার্ড ফিরোজ আহামেদ তালুকদার তারা অভিযোগ করে বলেন হত দরিদ্রের প্রধানমন্ত্রী ২৫০০ টাকা উপহার চেয়ারম্যান নিজেই তালিকা করেছে যাহা আমাদেরকে অবগত না করে নিজের সন্তান, বোন আত্বিয় স্বাজনদের তালিকা ও ফোন নাম্বার জমা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, এছারা মাতৃ কালিন ভাতার ৭২ জনের তালিকা নিজেই করেছেন যার মধ্যে নিজের স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে বৌ, বোন সহ আত্বিয় স্বজনের নাম লিপি বদ্ব করে ৯ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন, যাহা হত দরিদ্র পাওয়ার কথা ও নিয়ম তাহা নিজের পরিবার বর্গদের মাঝে সরকারি সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে,
এছারা ইউপি সদস্যরা আরো বলেন সরকারি বরাদ্ব কৃত চাউল চেয়াম্যান আমাদের সাথে আলোচনা না করে নিজের হাতে অর্ধেক বন্ডন করে বাকিটা আর্ত্বস্বাত করে, এবং সরকারি যত অনুদান বা সরকারি কাজ আসে তাহা সচিবকে নিয়ে চেয়ারম্যন নিজেই তদারকি করেন আমাদের অবগত না করে, মাতৃকালীন ভাতার প্রায় ১৫ জন সদস্য রয়েছে যারা চেয়ারম্যনের পরিবারবর্গ, এছারা ৪ ০ দিনের কর্মসূচির কাজ তারা পায়নি বলেও অভিযোগ করেন, বলতে গেলে ইউপি সদস্য হয়েও তারা ওয়ার্ড বাসির কোন কল্যাণে কাজ করতে পারেনা, কারন তারা ইউনিয়ন থেকে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এমন টাই বলেছেন ইউপি অভিযোগকারি মেম্বারগনরা,
অপরদিকে তারা আরো বলেন মনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত ও রং না করে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তার সাথে গাজীপুরের কুতুব পুুর ফারুক গাজীর বাড়ির সামনে ৬৯ হাজার ৬২৮ টাকার একটি নল কুপ স্হাপন না করে পুরো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, যেই যায়গাটি বহু বছর আগেই নদী
গর্ভে চলে গেছেন,
এছারা ১ নং ওয়ার্ডের বেইলী গৃচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন করোনা ও বন্যা সহ প্রধানমন্ত্রীর কোন ত্রাণ তারা পায়নি, তারা আরো বলেন সারা দিন ইউনিয়ন অফিসে কাটিয়ে বিকেলে গালমন্দ শুনে খালি হাতে ফিরেছেন,
এছারাও মেম্বাররা আরো বলেন চেয়াম্যনের আরো ব্যপক অনিয়ম রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ি মেম্বাদের নিয়ে বৈঠক করে উন্নয়ন মূলক কাজ সহ অনুদান বিতরন ো বন্ডন করার নিয়ম থাকলেও তিনি তাহা না করে নিজের ইচ্ছেমত করে যাচ্ছেন,
এসব অভিযোগের আলোতে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজীর সাথে মোঠ ফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমি সব সময় মেম্বারদের নিয়ে এবং অবগত করে ইউনিয়নের সকল কাজ করে থাকি তাছারা যারা অভিযোগ করেছে তাদের কাজের সময় আসতে বলে তারা যদি না অফিসে না আসে বা আমার সাথে যোগাযোগ না করে তাহলে আমার অপরাধ কোথায়, যার যার ওয়ার্ডের জন্য যা প্রয়োজন তারা আমাকে বলতে হবে বা তালিকা করে জমা দিতে হবে তাহলে তালিকা অনুযায়ি সেই সব ওয়ার্ড গুলির ভোটাররা সকল সুবিধা ভোগ করতে পারেবে, আর যেই স্কুলের বিষয়টি বলেছে আমি কাজ না করে টাকা আর্ত্বস্বাধ করেছি তাহা সঠিক নয়, এবং মেরামত ও রং করে ছবি তুলে জমা দেবার পরে সরজমিন তদন্ত করেই বিল পাশ করা হয়েছে, যাহার প্রমান এখনো আমার কাছে আছে, এছারা সুফিয়ান পাটোয়ারি বাড়ির সামনে নল কুপ স্হাপন করেছি তারও প্রামান আছে চাইলে আপনারা সরজমিন দেখতে পারেন,
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৫০০ টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অগচরে অনেকের নাম ঠিকানা জমা হয়েছে, যার কারনে আমার ছেলের নামও পড়তে পারে, তবে অগ্রাধিকার হিসেবে প্রধান মন্ত্রীর উপহার হত দরিদ্রারাই পাবে, তবে আমার জানামতে আমার গরিব আত্বিয় স্বজন কিছু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর টাকার উপহার ও মাতৃত্বা ভাতা পেয়েছে, তাছারা ১ নং ওয়ার্ডের যারা বলেছে আমি তাদের চাউল না দিয়ে গাল মন্দ করে তারিয়ে দিয়েছি তাহা মির্থ্যে কেনো না টোকেন বা তালিকার কার্ড ছারা কাহকে চাউল দেওয়া যায়না, আর তাদের কোন কাড বা টোকেন ছিলো, তাহলে কেমন করে তাদের দিবো, আর আমি তাদের গাল মন্দ দূরের কথা খারাপ আচরন করি নাই, তাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছি, অথচ তাদের মেম্বার তাদের নামের তালিকা আমাকে দেয়নি, আমার উপর আনিত অভিযোগ গুলি ষড়যন্ত মূলক বলে চেয়ারম্যান দাবি করেন,
অপর দিকে ৫ নং ওয়াড মেম্বার মোঃ শাহ আলম ৬ নং ওয়াডের হাবিবুর রহমান ঢ়াড়ি ও মহিলা মেম্বার ফাতেমা বেগমের স্বামী কামাল খাঁন বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের সাথে সকল বিষয় আলাপ আলোচনা করে আমাদের সকল ওয়ার্ডে বিতরন করেন, আমরা ৪০ দিনের কর্ম সূচির কাজ পেয়েছি, তাছারা, প্রধানমন্ত্রীর টাকা সহ চাল, শুকনো খাবার উপহার সকল কিছু পেয়েছি এবং চেয়ারম্যান নিজেই তাহা বিরতন করেছেন, আজ যারা অভিযোগ করেছেন তারা ইউনিয়ন অফিসে না এসে কোন যোগাযোগ না করে উল্টো নিজেদের অপরাধ চেয়ারম্যানের উপর দিচ্ছে, তাছারা তিনি সরকারি কোন অনুদান কাজ না করে আর্ত্বস্বাধ করেন নি, বরং পুরো ইউনিয়নে প্রতিবারের চাউল বিতরন করেছেন, আসলে আজ যারা এসব কথা বলছে তারা ষড়যন্ত মূলক ভাবে মেতে উঠেছে।