শাহরাস্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় দাগ নাম্বার ভুল। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিপক্ষ
হাসানুজ্জামানঃ শাহরাস্তি
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আদালত কর্তৃক ভুলে দাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বাড়ি নির্মাণ সামগ্রীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে প্রতিপক্ষ।
ঘটনাটি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরকী গ্রামে ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের আজমত উল্লাহ্ মেম্বার বাড়ির মৃত হেদায়েত উল্লার মেয়ে রোকেয়া বেগম (৩৯) গত ১২ আগষ্ট আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। উক্ত নিষেধাজ্ঞা মেনে শান্তি শৃংখলা বজায়ে রাখতে নোটিশ জারি করে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
আরও জানা যায়, ওই বাড়ির মৃত আজমত উল্লার পুত্র শাহাদাত হোসেন (৩৬) তার পৈত্রিক জায়গা ভরাট করে স্থায়ি বসত বাড়ি নির্মাণের শেষাংশে এসে তিনি নিষেধাজ্ঞা নোটিশ প্রাপ্ত হন। বিষয়টি ওই এলাকার অনেকেই অবহিত রয়েছেন বলেও জানা যায়।
এবিষয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, হয়রানী মূলক এই স্থিতিশীলতার কারনে আমার বাড়ি নির্মাণ সামগ্রীর ক্ষতি হয়েছে এবং আরও হচ্ছে। বিগত ৬ আগষ্ট ২০০১ইং তারিখে একই বাড়ির মৃত সুলতান আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে আমার মা হাজেরা খাতুন ৫ দাগে ৩৬৭০ নং সাবকবলা দলিলমূলে সাড়ে ১৪ শতক জায়গা ক্রয় করেন। বর্তমানে আমি যে স্থানে বাড়ি নির্মাণ করছি সেটা আমার মায়ের নামে সাড়ে ৪ শতক খরিদ করা জায়গা। তিনি আরও বলেন, বাদিনী রোকেয়া বেগম যে জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন আমি সেই জায়গায় অবস্থান করছি না। রোকেয়া আপা আমাকে অযথা হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। তিনি বিষয়টি সুষ্টু তদন্তমূলক নিস্পত্তি কামনা করেন।
এব্যাপারে জায়গা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মৃত আজমত উল্লাহ্ আমার ভাই। আমার আর্থিক প্রয়োজনে ২০০১ সালে ভাবীর কাছে সাড়ে ১৪ শতক জায়গা বিক্রি করি। আমি ৫ দাগে যে জায়গা বিক্রি করেছি তাতেই শাহাদাত তার বাড়ি নির্মাণ করছে। বিএস খতিয়ানে ভুল থাকায় আমি খতিয়ান সংশোধনী মামলা দায়ের করেছি কেন রোকেয়া তার কাজে বাধা দিয়েছে তা আমার জানা নেই।
স্থানিয় সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দীন বলেন, অতিত ইতিহাস বলে, সুলতান আলীর মৃত্যুর পর তার ২ ছেলে ২ মেয়ে ১শত ৫০ শতক জায়গার মালিক হন। প্রায় ৪০ বছর আগে হেদায়েত উল্লাহ্ ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৫০ শতক জায়গার মধ্য ৪৮ শতক জায়গা বিক্রি করেন। বাকি ২ শতক জায়গা তার সন্তানদের দখলে রয়েছে। বিএস মাঠ জরিপে ভুলবশত তাদের অবশিষ্ট জায়গা হেদায়ে উল্লার নাম উঠায় তার সন্তানেরা মালিকানা দাবি করে। বর্তমানে যে জায়গায় শাহাদাত বাড়ি নির্মাণ করছে সে জায়গার মালিক রোকেয়া পরিবার নয়। অহেতুক হায়রানিমূ্লক নিষেধাজ্ঞা জারি করে শাহাদাতের বাড়ি নির্মাণে ব্যবহৃত ইট, বালু, সিমেন্ট নষ্ট করা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রসাশনের সুনজর কামনা করেন তিনি।
রোকেয়া বেগম বলেন, আমি আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ বুঝে পেতে চাই। নিজের জায়গা বুঝে পাওয়ার জন্য আদালতের আশ্রয় গ্রহন করেছি।