জাহেদ পারভেজ এর বাইশ মাসের চাঁদপুর
এস আর শাহ আলম
জাহেদ পারভেজ চৌধুরী যিনি আইনের সেবক হয়েও সাধারণ মানুষের মত মন মানিসকতা নিয়ে চাঁদপুরে কাটিয়েছিলেন, ভাগ্য গুনে দুইটি বছর পূর্ণ হয়নি তবে বাইশটি মাসের চাকুরি জীবনে তিনি সদর বাসির জন্য যা করেছেন তাহা কখনো ভোলার নয় এখনো প্রতিটি মানুষ তাকে মনে করে অতিথের সেবা গুলি মনে করে বলে আমরা কি জাহেদ স্যারের মত কাহকে পাবো, আমরা কি সঠিক ন্যয় বিচার পাবো।
তৎকালীন সময়ে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন জিহাদুল কবির বিপিএম বার পিপিএম, আজ তিনি ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডি আই জি, যার সাথে কাজ করেছেন অতিরিক্ত পলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, এর পরে জিহাদুল কবির বিদায় হলে চাঁদপুর পুুলিশ সুপার হয়ে আসেন, মোঃ মাহবুবুর রহমান পি পি এম বার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর চাঁদপুর কর্মস্হল ২২ মাসে দুই জন এস পি পেয়েছেন সৎ নিষ্টাবান মানব প্রেমি, যার ফলে তিনিও সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রতিটি সমস্যায় তিনি নিজেই মাঠে ছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে থেকে নিজের আইনের সেবা সঠিক ভাবে দিয়েছেন, আর সদর বাসি সঠিক সেবা ও ন্যয় বিচার পেয়েছেন তার কাছ থেকে এমন টাই সাধারণ মানুষ বলেছেন।
জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ছিলেন চাঁদাবাজদের জম, চাঁদাবাজরা সব সম জাহেদ পারভেজ এর নাম শুনলে পালিয়ে যেতেন, কিন্তু লুকিয়ে থাকা চাঁদাবাজদের খুজে বের করে তিনি আটক করেছেন, নিজেই মাঠে নেমে নিজ হাতে হরিণা ফেরি ঘাটের চাঁদাবাজদের আটক করে চাঁদা মুক্ত করেছেন চালকদের।
এছারাও জাহেদ পারভেজ চৌধুরী মা ইলিশ রক্ষায় নিজেই রাতে অভিযান করে বহু দালাল সহ ইলিশ ও ঝাটকা মাছে পাচার কৃত বড় বড় পিকাপ ভেন সহ দালাল আটক করেছেন, নিজেকে দেশ ও জনগণ রক্ষায় নিয়োজিত রেখেছেন সব সময়, যার ফলে সদর বাসির কাছে তিনি আইনের সঠিক সেবকের হিরো হিসেবে সকল পেশা জীবি মানুষের মনে যায়গা করে নিয়েছেন, শহরের যানঝট নিয়ন্ত্রনে বেপক ভূমিকা রেখে নিজেই মাঠে নেমে যানঝট মুক্ত কাজে সামিল থাকতেন সব সময়, তার পাশা পাশি অধিকাংশ ঘটনা গুলি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্হল পরিদর্শ করে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে, গভীর ভাবে সততার সাথে বিভিন্ন ঘটনা স্পর্টে তদন্ত করে, সাধারণ মানুষকে সব সময় বলতে আপনাদের ভয় নেই অপরাধি না হলে আপনারা মামলার হয়রানীর শিকার হবেন না, একই সাথে তিনি থানার অফিসার সহ তদন্ত কর্মকর্তাকে বলতেন নিরঅপরাধ মানুষ যেনো মামলার হয়রানীর শিকার না হয়, যার কারনে প্রতিটি মানুষের কাছে তিনি ছিলেন আস্তার আলোর প্রদীপ,
এখানেই শেষ নয় জাহেদ পারভেজ চুরি ছিনতাইও বিভিন্ন অপরাধ কারিদের খুজে বের করতে সিসি ক্যমেরাকে অনুসরণ করতেন গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সকল অপরাধ কারিদের খুজে বের করে আটক করতে, এমন কাজ কর্ম আর আইনের সঠিক সেবার প্রতি সাধারণ মানুষও খুব শ্রদ্ধাশীল হয়ে জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর স্বরনাপর্ণ হয়ে সব ঘটনা খুলে বলার সুযোগ পেতো, তিনি সকল কথা শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্হা গ্রহন করতেন, এছারা তিনি দ্রব্য মূল্য অগ্রগতি হলে নিজেই মাঠে নেমে বাজার ব্যাবসায়িদের সাথে দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলতেন, এখানেও ছিলো দক্ষতার পরিচয়, বেশির ভাগ সময় টুকু তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত রাখতেন।
তবে সব চেয়ে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে করোনার মহামারিতে তিনি টিম নিয়ে সবর্দা মাঠে থেকে সাধারণ মানুষ কে সচেতন করা সহ পুলিশ সুপারের নির্দেশে খাবার বিতরন করেছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে, সেই করোনা কালীণ সময় নিজের জীবন এর কথা ভাবেন নি তিনি, তিনি নিজের বাবাকে আই সিওতে রেখে সদর বাসিকে ছেরে বাবাকে দেখতে যান নি, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জম্ম দাদা পিতাকে রেখে করোনার মাহামারি থেকে সদর বাসির জীবনের কথা ভেবে দিবা রাএি সচেতন করে সাধারণ মানুষ কে সেবা দিয়েছিলেন তিনি, তাহা আজ ও ভোলে নাই সদর বাসি, আর সাধারণ মানুষের দোয়ায় জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর বাবাও সুস্হ হয়ে ওঠেন, এমন একজন পুুলিশের কর্মকর্তাকে চাঁদপুুর সদর বাসি কেমন করে ভুলবে বা ভূলতে পারে, আজ তিনি নারায়নগঞ্জ চলে গেলেও, চাঁদপুরের বিগত বাইশ মাসের কর্ম জীবনে তিনি সদর বাসির কাছে ছিলো আলোর প্রদীপ যার কারনে এমন আইনের মানুষ কে চাঁদপুর বাসি বার বার ফিরে পেতে চায়,