ফরিদগঞ্জে জেলা পরিষদে কাজের অনিয়মে বাঁধা দেওয়া হামলা
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ফরিদগঞ্জে জেলা পরিষদে কর্তৃক বরাদ্দকৃত পুকুর ঘাটলার কাজে অনিয়মে বাঁধা দেওয়া হামলা শিকার হয়েছে লিটন পন্ডিত (৫৫) নামে এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরবড়ালী গ্রামের পন্ডিত বাড়িতে।
সরজমিন গিয়ে জানাযায়, দক্ষিণ চরবড়ালী গ্রামের পন্ডিত বাড়িতে জেলা পরিষদে বরাদ্দকৃত পুকুর ঘাটের ঘাটলা নির্মান কাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছিল। সেই ঘাটলার নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগে তোলে ঐ বাড়ি বাসিন্দারা। সেই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে গত ১৮ এপ্রিল বাড়ির লোকজনের সাথে ঘাটলার কাজ করা লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন বিষয়টি সমাধান করবে বলে সকলকে আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি তা সমাধান না করে উল্টো তার লোক দিয়ে পরে দিন রাত ১০ ঘটিকার সময় পন্ডিত বাড়ির লিটন পন্ডিত স্থানীয় কালির বাজার থেকে ফেরার পর পথে তার উপর চেয়ারম্যানের লোক জন তাকে লোহার রড ও পানির পাইব দিয়ে মারধর করে বলে তিনি জানান। এই সময় লিটনের ডাক চিৎকার শুনে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা দিন অবস্থায় রয়েছে।
আহত লিটন পন্ডিত বলেন, জেলা পরিষদে বরাদ্দকৃত পুকুর ঘাটলার কাজে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে তা দেখে আমাদের বাড়ির লোকজন ও আমার ছেলে মামুনসহ তাদের কে ডাক দেয়। এতে করে পুকুর ঘাটে কাজ করা লেবারা তাদের উপরে চড়ে যায়। এবং তাদের কে মারধর করবে বলে হুমকি দিয়ে থাকে। বিষয় টি আমারা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন কে জানানো হলে তিনি সমাধান করবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি তা নাকের তার পালিত লোক জন দিয়ে আমার ছেলেসহ বাড়ি লোকজন কে মারধর করবে বলে লোক পাঠায়। তারা আমাদের দোকানের কাছে এসে কাউকে না পেয়ে চলে যায়। পরে দিন রাতে আমি কালির বাজার থেকে ফেরার পথে আমাকে একা পেয়ে সোহেল, রাজু ও রায়হানসহ ৭/৮ জন লোক আমাকে বেধড় মারধর করে। পরে আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কাজে অনিয়মের বিষয় ডাক দেওয়া কি আমাদের অপরাধ ছিলো। আমরা এর বিচার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ঘাটলার কাজে অনিয়ম দেখে আমরা বাড়ির লোকজন মিলে তাদের কে ডাক দিয়ে থাকি কিন্তু তারা উল্টো আরো আমাদের চোখ খুলে দিবে মারবে বলে হুমকি দিয়ে থাকে। তারা সকলে হল চেয়ারম্যানের লোকজন। তারা বাড়ির সামনে দোকানের কাছে লোকজন মারবে বলে উটপেতে থাকে। কাউকে না পেয়ে লিটন পন্ডিত একা পেয়ে তারা মারধর করে। মাথা পাটিয়ে দেয় এবং শরীরের ভিবিন্ন স্থানে রড দিয়ে মারে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপনের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। মুটোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বার 01712600821।