জমিজমাকে কেন্দ্র করে মাদকের নাটকীয়তা
পুরানবাজার গর্ভবতি মহিলার মৃত্যু
এস আর শাহ আলম
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার মাদকের অভিযানের সময় গর্ভবতী এক নারীর মৃত্যুর খবরটি ছরিয়ে পরেছে। জমিজমাকে কেন্দ্র করে মাদকের নাটকীয়তা সাজাতে গিয়ে সোর্স রেহানা বেগম পিতা আবুল এখন পলাতক রয়েছে। নিজেদের জমির মালিক বানাতে মাদক দিয়ে পুলিশ কে খবর দিয়ে মাদক ব্যাবসায়ি বানানোর চেষ্টায় নিরহ গর্ভবতী নারীর মৃত্যু,
সরজমিন গিয়ে জানা যায় পুরানবাজার এলাকার মধ্যে শ্রীরামদী বৌ বাজার নতুঁন রাস্তায় নুর মোহাম্মদ ও বিউটি বেগমের ১৮ বছরের মেয়ে ১০ মাসের গর্ভবতী নুসরাত জাহান নাছরিন স্বামী মোঃ শরিফ, সোমবার মাগরিব বাদ পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আমিনুল ইসলাম ও এ এস আই বশির এ এস আই মোহাম্মদ আলি, সহ সঙীয় ফোর্স বিউটির বাড়িতে মাদকের অভিযান করেন। সে সময় বিউটি বেগম ও তার স্বামী নুর মোহাম্মদ বাড়িতে ছিলো না, তখন তাদের গর্ভবতী মেয়ে নাছরিন একা ভিতরের রুমে খাটে শুয়ে ছিলো, পুলিশ তল্লাসি করে বালিশের নীচ থেকে ১০০ পিচ ইয়াবা খুজে পেয়ে গর্ভবতী নাসরিনের উপর চড়াও হলে নাসরিন ভয়ে অঞ্চান হয়ে মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়, তখন উপস্থিত পুলিশ তাকে অটো বাইকে উঠিয়ে চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এর পরে তাকে বাড়িতে পাঠালে গর্ভের ১০ মাসের সময় জীবিত আছে বলে পূণরায় হাসপাতালে পাঠালে কর্মরত চিকিৎসক গর্ভের সন্তানকেও মৃত ঘোষনা করেন।
এই খবরে এলাকায় নারী পুরুষের ঢল নামে, এক পর্যায় হাজারো এলাকাবাসী জরো হয়ে পুলিশ কে দায়ি করতে গুনজন দেখা যায়। আর পুলিশ বলছেন অভিযান চলা কালীন সময়ে গর্ভবতী নারীকে দেখেন নি। তবে সোর্সের হুবহু তর্থে মাদক উদ্ধার কালে পুলিশ সোর্সকে সন্দেহ করে বলে অভিযানে থাকা পুলিশ আমাদের বলেন, তারা আরো বলেন সোর্সকে সন্দেহ করে অনেক খুজেও তাকে পায়নি, তবে তাকে আটকের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে নাসরিন এর মৃত্যুর খবরে নানাহ ধরনের রহস্য ভেঁসে আসছে, সকলেই বলছে এরা মাদকের সাথে জরিত না, বিউটি বা তার স্বামী এবং তার মেয়ে কখনো মাদকের সাথে জরিত না, এটা সাজানো নাটক করে এদেরকে ফাঁসানো হয়েছে।
এছারা মৃত নাসরিন এর মা বিউটি বেগম বলেন, আবুলের কাছ থেকে ২ শতাংশ যায়গা বিউটি বেগম কিনে, এবং ৮ মাস আগে আবুল তাকে জমি রেজিস্ট্ররি করে দিয়েছে। অথচ, আবুলের মেয়ে শাহীনুর বেগম, স্বামী জাহাঙ্গীর, ও রেহানা বেগম মিলে আমার কিনা জমি কিনবে বলে আমাকে জানিয়েছে, আমি কিনেছি বলে তারা সহ নুর মোহাম্মদ এর ছেলে কাঞ্চন আমার সাথে ঝগরা করেছে। তাছারা পুরানবাজার পুলিশের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলে , রোববার পুলিশ আমার বাড়িতে এসে মাদক আছে বলে তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে চলে যায়, পরে সোমবার মাগরিফ বাদ আবার ফাঁড়ির পুলিশ বশির সহ ৮-১০ জন পুলিশ এসে এই ঘরে তল্লাশি করে বালিশের নীচ থেকে ইয়াবা পায়, অথচ, আবুলের মেয়ে রেহানায় দুপুরে এসে আমার মেয়েকে বলে একটু ঘুমামু এর পরে সে বেড়িয়ে গেলে পুরানবাজার পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি করে, ওই মেয়ে ঘরে এসে বালিশের নীচে মাদক রেখে পুলিশকে ফোন করে আসতে বলে, ঠিক তখনি পুলিশ এসে তল্লাশি করে তখনই আমার মেয়ে ভয় পেয়ে মারা যায়।
অপর দিকে স্হানীয় রা জানান ওরা পরিকল্পিত ভাবে মাদক দিয়ে তাদের পুলিশে দিতে চেয়েছিলো, যায় কারনে নাসরিন মারা গেলো আমরা খুনিদের বিচার চাই, একই সাথে এই মাদকের নাটকীয় কর্তার শাস্তির দাবি করছি।
নাসরিনের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে অবস্হান করলে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে আইনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন। একই সময় আবুলের মেয়ে শাহীনুর বেগম স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন কে জনতা কর্তৃক আটক করে গন ধোলাই দেবার সময় আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর গাজী শাহীনুরকে উদ্ধার করতে আসলে গুরুতর আহত হন, জনতার হামলায় আলমগীর এর ডান পায়ের পাতার সামনে কেটে গেলে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে সাতটি সেলাই করে চিকিৎসা সেবা করা হয় বলে আলমগীর বলেন। তাৎক্ষণীক জনতার হাত থেকে পুলিশ শাহীনুরকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানার প্রেরণ করা হয়,
এই খবরে সরজমিনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়াটার, সদর সার্কেল আরাফাত, হোসেন, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ, পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব,
পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মালেক শেখ আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল হাওলাদার সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে আসেন। মৃত নাসরিন এর স্বামী ঢাকা কর্মরত ছিলো, তিনি বলেন তার স্বামী গর্ভবতী বসছে বৃহস্পতিবার ৫ ই জানুয়ারি ডাক্তার ডেলিভারি করার সময় দিয়েছে, আর জমির বিষয় নিয়ে ওরা আমার শশ্রর বাড়ির মানুষের সাথে জগরা করে আসছে। এই জমিকে কেন্দ্র করেই আমার স্বীকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি আইনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি করছি।
এদিকে সোর্স রেহানাকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে, এবং পুলিশ ও কাউন্সিলর সহ পরিবারের লোকজনদের নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে মৃত নাসরিন এর দাফন করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত বিসয়ে পুলিশের সাথে আলাপ করে তেমন কোন সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়নি।