ফরিদগঞ্জে উদ্ভিদ জাতীয় গ্রামীণ লজ্জাবতী গাছ বিলুপ্ত প্রায়
জসিম উদ্দিন, ফরিদগঞ্জ:
লজ্জাবতী গাছ কট্টকময় ।এ উদ্ভিদ প্রাণটি অনেকটা বিলুপ্তপ্রায়। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের পথের ধারে বাড়ির আনাচে-কানাচে প্রায় অগোচরেই জম্ন নেয়এই গাছ। ছোট ফুল্ন জাতীয় গাছটির নাম লজ্জাবতী গাছ ।পাতা স্পর্শ করলেই আশ্চর্যজনক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার অবস্থায় ফিরে স্বতেজ হয়ে ওঠে। অত্যন্ত দ্রুত অনুভূতি সম্পন্ন এই গাছ। অনাদরে জন্ম নেওয়া এ গাছে রয়েছে নানা ঔষুধি গুন।
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের আশে পাশে থাকা অনেক গাছপালা উদ্ভিদ বা তরুলতা নানা ঔষধি কাজে মানুষজন ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী ওষুধের ক্ষেত্রে এসব গাছ গাছড়ার ব্যবহার হয়ে আসছে।
লজ্জাবতী লতানো উদ্ভিদ। চিকন চিকন পাতা আর গোলাপী আভার ফুলে শোভন এ প্রাণ । প্রকৃতিগতভাবে জন্মে থাকা লজ্জাবতী গাছ বেশ মজার । শুধু এর চিড়ল পাতাই নয় ফুল দেথতেও বেশ সুন্দর। ছোট ছোট ফুল হালকা গোলাপী রঙের আভায় সুনন্দ বর্ণিল লজ্জাবতী ফুল। সাধারণত পথের ধারে ঝোপঝাড়ে জন্মে এ গাছ। ছোট ছোট কাঁটা ভর্তি গাছ। প্রতিবছর এই গাছ কেটে ও ঝোপ ঝাড় পরিষ্কার করতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করে নষ্ট করার ফলে এখন আর এই গাছটি নতুন করে তেমন জন্মায় না।
লজ্জাবতী পাতারা আসলেই লাজুক প্রাণ। অতি রোদের তাপ ও সন্ধ্যাবেলায়ও লজ্জাবতী পাতাদল নেতিয়ে থাকে। লজ্জাবতী আসলে উদ্ভিদ জগতে অনন্য এক লাজুক প্রাণ। এর আদি নিবাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে, তবে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সবখানেই এটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমাদের দেশে আগে বেশ চোখে পড়ত এই গাছ। তবে নানা পরিবেশগত বিপর্যয়ে বর্তমানে যখন তখন লজ্জাবতীর দেখা মেলে না। এ উদ্ভিদ প্রাণটি এখন অনেকটাই বিলুপ্ত প্রায়।
উদ্ভিদটি প্রকৃতিগত ভাবেই একটু ভিন্নতর প্রকৃতির। স্পর্শকাতর বলেই হয়তো এর নাম লজ্জাবতী হয়েছে।বনজ ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ গাছ এটি।