শাহরাস্তি ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকের হ্নদয় পাল ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও

শাহরাস্তি ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকের হ্নদয় পাল ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও

শাহরাস্তি প্রতিনিধি চাঁদপুর

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তির মেহারকালীবাড়ী ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকের সত্বাধিকারি
উদ্যোক্তা হ্নদয় চন্দ্র পাল ব্যাংকের গ্রাহকদের ৩ কোটি টাকা
নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। ৬ ই ফেব্রæয়ারী সোমবার সকাল
থেকে এজেন্ট শাখার গ্রাহকরা তাদের রক্ষিত টাকা তুলতে
এসে কাউকে না পেয়ে আহাজারি করতে দেখতে এসে
আহাজারি করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগী ব্যাংক এশিয়া
এজেন্ট শাখার গ্রাহক ও শাহরাস্তি ডিজিটাল পোষ্ট
অফিস (ডিজিটাল ডাকঘর) গ্রাহকরা জানান, শাহরাস্তি
ডিজিটাল পোষ্ট অফিসে টাকা জমা, ডিপোজিট,
সঞ্চয়পএ, ও মাসিক মুনাফা হারে জমাকৃত অর্থ ব্যাংক
এশিয়া এজেন্ট শাখায় জমা দিয়ে রশিদ, চেক , ও বন্ড
সংগ্রহের নিয়ম রয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার সাথে উপজেলা
পোষ্ট অফিসের ডিজিটাল লেনদেনের সারাদেশের ১৬৮০টি
এজেন্ট শাখায় এ লেনদেন চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগী
গ্রাহকরা উপজেলা ডিজিটাল পোষ্ট অফিসের মাষ্টার
মজিবুর রহমানকে এ ঘটনায় দায়ী করে জানান, পোষ্ট
অফিসে টাকা উওোলন জমা, ডিপোজিট টাকা, বন্ডের
টাকা, টাকা জমা করতে গেলে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কথা
বলে পোষ্ট মাষ্টার মজিবুর রহমান ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট
হ্নদয় পালের নিকট টাকা জমা রাখতে বলেন। হ্নদয় পাল
গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায়
তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে সবাইকে বলে
বেড়াচ্ছেন। পোষ্ট মাষ্টার মজিবুর রহমান এ দায় এড়াতে
পারবেন না। ভুক্তভোগীরা হচ্ছেন ইয়াছমিন সুলতানা রুপন

৫ লক্ষ টাকা, সাং পদুয়া, হাজেরা বেগম ২ লক্ষ টাকা, সাং
নিজমেহার, শাহানারা বেগম ২ লক্ষ টাকা, নাসরিন আক্তার ৩
লক্ষ টাকা, জহির হোসেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, কোহিনুর
বেগম ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, সুজিতরা রানী ৬ লক্ষ টাকা,
সুরাইয়া আক্তার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আবদুল মালেক ৯ লক্ষ
৩০ হাজার টাকা। এছাড়া ও শত শত গ্রাহক তাদের
জমাকৃত টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য আহাজারি করছেন।
এশিয়ান ব্যাংকের উধ্বতর্ন কমকর্তা মো: আশফাক
জানান, মেহার কালী বাড়ী এজেন্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা হ্নদয়
চন্দ্র পাল, পিতা: রনজিৎ চন্দ্র পাল, সাং নিজমেহার পাল পাড়া,
এশিয়ান ব্যাংক এজেন্ট নং ৩৫/৫৭, এর বিরুদ্ধে
গ্রাহকদের টাকা আত্বসাত সহ ৪০ লক্ষ টাকার রশিদ বিহীন
টাকার উৎসের খোজ পাওয়া গেছে। গত ১ ফেব্রæয়ারী
বুধবার তার কাছ থেকে ব্যাংক কতৃপক্ষ ঐ টাকার খোজ
পেয়ে ৩শত টাকার স্ট্যাম্পে তার কাছ থেকে ডিট রাখা
হয়েছে। সে মাঠ থেকে টাকা কালেকশনের কথা বলে
পালিয়েছে। বর্তমানে আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা
কত টাকা পাবেন তার হিসাব নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD