হাইমচরের গাজীপুর ইউনিয়নে জেলেদের চাউল বিতরণের অনিয়ম সহ কার্ড কর্তনের অভিযোগ
হাইমচর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর জেলা হাইমচর উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণের অভিযোগ করেন একাধিক নিবন্ধনকৃত জেলে।
১১’ই মার্চ সকাল ১১’টা থেকে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হাইমচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্নে হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ এর উপস্থিততে ও ট্যাগ অফিসার হাফিজুর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সবুজ,ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ৩৭’কেজি করে জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত জেলেরা বলেন,আমরা প্রকৃত জেলে,আমরা সরকারের আদেশ মেনে নদীতে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস জাল নিয়ে নামিনা।ঝাটকা নিধন বন্ধে সরকার নিবন্ধিত জেলেদের জন্যে ৪০’কেজি করে দুই মাসে ৮০’কেজি চাউল বরাদ্দ ছিলো সেখানে আমরা ৪০ কেজির পরিবর্তে ৩৭-৩৮ কেজি করে চাউল পাচ্ছি।জেলেরা আরও বলেন,আমাদের কোন আয় রোজগার নেই,আমরা এখন অবসর তবুও আমাদের কাছ থেকে দুই শত টাকা করে চৌকিদার টেক্স একশত ও চাউল কেরিং খরচ একশত টাকা করে নিচ্ছে।
একাধিক নিবন্ধিত জেলেদের অভিযোগ তারা প্রকৃত জেলে এবং বিগত দিনে তাঁরা জেলে চাউল পেয়েছি,জেলেদের উপকরণ পেয়েছি,নবাগত চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সবুজের নেতৃত্বে খুরশিদ মেম্বার,হাবু রাড়ী এবং এমরান তালুকদার একাধিক নিবন্ধিত জেলেদের নাম কেটে দিয়ে নিজেদের লোকজনকে জেলের চাউল দিচ্ছে।
অভিযোগ কারী জুলহাস মিয়া ও মোঃ নাছির সহ বলেন,আমরা নিবন্ধিত কার্ড প্রাপ্ত জেলে তারপরও আমাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।এর মূূল কারণ আমরা নির্বাচনে আনারস মার্কার নির্বাচন করিনি,আমরা নৌকা মার্কার কর্মী হয়ে কাজ করেছি এটাই আমাদের মূল অপরাধ।তাই আনারস মার্কার প্রার্থী চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে আমাদের জেলে কার্ড বাদ দিয়ে নিজের লোকদের চাউল বিতরণ করছেন বলে বলেন জেলে জুলহাস ও নাছির।
এবিষয়ে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সবুজ বলেন,আমি এই পর্যন্ত কোন জেলেদের নাম কর্তন ও সংযোজন করিনি।
তাছারা সরকারি ভাবে আমি চাল কম পেয়েছি এবং কয়েকজন জেলেদের নাম বাতিল করা হয়েছে এতে আমার কোন হাত নেই, আর যারা আমাকে জরিয়ে এসব বলছে আসলে এটা একটা গুজব,আমি শুধু চাই আমার ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেরা যেনো কেউ বাদ না যায়।