সাকিব-হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
কাজি রাসেল ঢাকা
প্রয়োজনে সাকিব-হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি সাকিব আল হাসান এবং হিরো আলম
ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একঝাঁক তারকা এ মুহূর্তে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি। তার বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে, তারপরেও তিনি দুবাই গিয়েছেন।
তারপরও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারেন সাকিব আল হাসান এবং হিরো আলম।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্য খুনের মামলার আসামির স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে দুবাই যাওয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, স্বর্ণের দোকানের মালিক আরাভ খান পুলিশ খুনের আসামি বিষয়টি জানানো হয়েছিল সাকিবকে। কিন্তু তিনি দুবাইয়ে কেন গেলেন, এটি দুঃখজনক।
ডিবি প্রধান জানান , আমাদের পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাকে শুধু হত্যাই করেনি। তার লাশটি যেন না পাওয়া যায় তাই কালীগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর মামলা হয়।
আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরবর্তীতে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এর মধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যায় আরাভ।
আরও বলেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি, সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতে ও অনেকের বলার পরেও সাকিবসহ অনান্য স্টার খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গেছেন এবং তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন তাহা আমরা জানতে পেরেছি
আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহয়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সুএে জানায় ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান। এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি ৯ মাস জেল খেটে বের হন!