হাইমচরে গাজীপুর ইউনিয়নের ১২ বস্তা সরকারি চাউল জনতা কর্তৃক আটক
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলা হাইমচর উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নের জেলেদের চাউল পাচার কালে স্থানীয় জনতা ১২ বস্তা চাল আটক করেছে।
সোমবার হাইমচর উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নের জেলেদের চাল কালো বাজারে বিক্রির জন্য পাচার করার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় জনতা কাটাখালী মাছ ঘাট সংলগ্ন রাস্তায় আটক করে প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীদের সংবাদ দেয়। চাল আটকের সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানা পুলিশ চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। হাইমচর থানা
পুলিশ আটককৃত চাউল গুলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে হস্তান্তর করে।পরে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চারজন কার্ডধারি চাউলের মালিক দাবি করে
তাদের কার্ড দেখালে পুনরায় তাদের চাল ফেরত দেওয়া হয়। তবে সুএে জানায় কার্ডধারি ওই চারজন কোন এক মেম্বার এর শশুর শাশুড়ী ও সালা সালিকা, আর চাউল আটকের সাথে সাথে এরাই চাউলের মালিক বলে দাবি করেন। তাছারা অটো চালক ওই ইউনিয়ন এর গ্রাম পুলিশের ভাই বলে সুএে জানা যায়,এমনও জানা যায় ওই অটো চালক বর্তমান চেয়ারম্যান এর বাড়িতে বসবাস করছে।
এদিকে এই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করতে বিকেলে চার চাউলের মালিক সংবাদ সন্মেলন করেছেন, সেখানে তারা উল্লেখ করেন চাল ছিনতাই এর নাটক সাজিয়ে নিজেদের বাঁচানোর পায়তারা করছে তা না হলে, দুপুর ১২ টার ঘটনাকে বিকেলে সংবাদ সন্মেলনের মানি কি হতে পারে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহল চৌধুরী বলেন, মুলত এ চাল গুলি ভিজিডি কার্ডের চাল। লোকজন জেলেকার্ডের চাল বলে আটক করে। আমরা চালের মালিককে তাদের কার্ড যাচাই-বাছাই করে সঠিক পেয়ে তাদের মাল তাদের কে ফেরত দিয়েছি।
আর এই ফেরত দেয়াটা সচেতন মহলের কাছে কিছুটা ধোয়াসায় থেকে গেলো, কেনো না গত কয়েক দিন আগে গাজীপুর ইউনিয়ন এর নিবন্ধিত অর্ধশত জেলেরা চাউল না পেয়ে হাইমচর মৎস্য অফিস মানব বন্ধন করলে নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের তালিকা যাচাই বাচাই করার নির্দেশ দেন, আর ভোক্ত ভুগি জেলেরা, শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, জেলা প্রশাসক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন, অথচ তার রেশ কাটতে না কাটতে এবার অটোতে ১২ বস্তা চাল আটকের খবর, যদিও ১২ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়, তবে ভাষা শোনা যায় ১৫ বস্তার কথা,
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন সবুজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চার জনের ভিজিডি চাল একত্রে করে অটো দিয়ে নিয়ে যায়। পরে ফোন ফেলাম লোকজন তাদের চাল আটক করে। এই চাল জেলে কার্ডের না।
তবে সচেতন মহল বলেন যদি কোন কার্ডধারির চাউল থাকে তাহলে এক সাথে অটোতে করে এতগুলি চাল নেওয়ার কারন কি, তাছারা চাউলের সাথে কোন কার্ডধারি ছিলো না, একমাএ অটো চালকই চাউল গুলি বহন করে নেওয়ার বৈধতা কতটুকু তাহা ক্ষোধ কর্তৃপক্ষ বলতে পারেন।
এদিকে গাজীপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান গাজী বলেন আসলে এই চাউল গুলো জেলে কার্ডের চাউল জেলেদের চাউল কম দিয়ে এই চাউল বিক্রি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষ তদন্ত পূর্বের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে গাজীপুর ইউনিয়নবাসী আশাবাদী।
আর আমরাও মনে করি চাউলের ঘটনাটি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করবেন।