সংবাদ প্রকাশেরর পর ক্ষিপ্ত হলো উপ সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাৎ।
চট্রগ্রাম প্রতিনিধি
বিপিডিবির কর্মকর্তাদের দূর্ণিতির তথ্য ফাস,,জড়িত আছে সিবিএ সহ বড় বড় কর্মকর্তারা,বিপিডিবির চট্টগ্রাম নিউমুরিং হালিশহর শাখায়, বন্দর, ইপিজেড, এবং পতেঙ্গা এলাকায় ঘুরে হাজার হাজার গ্রাহকের অভিযোগ দেখার কি সত্যিই কেউ নাই?? প্রকৌশলী, উপ সহকারী, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সিবিএ -এর স্বক্রিয় সহযোগিতায় যে ধুমধাম দূর্নিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার তদন্তের দ্বায়িত্ব নেওয়ার কি আসলেও কেউ নাই?? এদিকে নিউজ এর বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার সম্পাদক তিনি বলেন , উপ সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন কে ফোন করে পরিচয় দেওয়া মাত্র গালিগালাজ দেওয়া শুরু করে, সাংবাদিক তার কি বাল ছিড়বে, নিউজ করে তার যেন বাল ছিড়ে এবং বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে।৷( যার রেকর্ড পাঠান আমাদের কাছে )
চট্রগ্রাম বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নিউমুরিং শাখায় চলছে দুর্নিতি। ৮ম শ্রেণীর জাল সার্টিফিকেট এ পিডিবি নিউমুরিং শাখায় চাকুরীতে বহাল পংকজ কুমার দাস। কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে , পিডিবি”র কর্মকর্তা কর্মচারী। রাজস্ব ফাকি ও ভর্তুকিতে সরকার।প্রতি ইউনিট ৬.২৫ টাকার ক্রয় ৪.৭৫ টাকায় ভর্তুকিতে সরকার।। অনিয়ম ও দুর্নিতির উপর ভর করে চলছে, নিউমুরিং বি বি বি, মিটার রিডিং ফেলে দিয়ে নতুন ডিসপ্লে বসিয়ে, ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে মিটার বসানো, জাল জমির খতিয়ান, লাইন কেটে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা আদায় সহ দুর্নিতির মহা উৎসবে নিউমুরিং বিদ্যুৎ শাখা। ভুয়া সার্টফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরীতে বহাল থাকা পংকজ কুমার দাস সৃষ্টি করেছে দুর্নিতির এক নৈরাজ্য।
প্রশাসন জানা সত্তেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মিটার রিডিং ফেলে দেওয়ার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, তদন্তকারী অফিসার হিসাবে আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন উদ্ধতন কর্মকর্তার উপর দ্বায়িত্ব এবং নিউমুরিং নয়ারহাট পিডিবি সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাদৎ হোসেন তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দ্বায়িত্ব পালনের ভার দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সঠিক হলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। থমকে আছে তদন্তের কাজ।কারণ তার সাথে জরিত আছে বন্দরটিলা নয়ার হাটের সহকারী প্রকৌশলী শান্তনু দাস,উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসেন,। জানাগেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নতুন ফাইলগুলো যাচাই বাছাই না করে ফাইল সঠিক বলে স্বাক্ষর করেন অনিল বাবু এল ডি আর, ফারুক আজম পাহলাবি সহ অনেকে।
নতুন মিটারে জন্য গ্রাহক কাগজপত্র জমা দিলে সেখানে ও চলছে দুই নাম্বারি। গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার বসানোর নামে হাজার হাজার টাকা নিয়ে চলছে প্রতারণা। হয়রানির শিকার গ্রাহকদের বিনা নোটিশে লাইন কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার নিরব চাঁদাবাজিতে দিশেহারা শত শত গ্রাহক।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় যে, জায়গায় ক্ষতিয়ান হাতে এবং কম্পিউটারে তৈরী করা হয়।
চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ট্রড লাইসেন্স, খাজনা পরিশোধ এর কাগজ, নাম ঠিকানা পরিবর্তন,হাতে লিখে ও কম্পিউটারে তৈরী করা হয় কাগজপত্র নতুন মিটারের জন্য এ যেন এক নৈরাজ্যেকর পরিস্থিতি।
২০১৬/২০১৭/ ২০১৮ ফাইলগুলো তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে পংকজ কুমার দাস ও সাহায্যেকারী আসমত ঢালীর অপরাধের তালিকা। আর এসব অপ- কর্মের সাথে জরিত রয়েছে অনিল বাবু,ফারুক আজম এল ডি আর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, পংকজ কুমার দাশ একি ব্যক্তি দুইটি জন্ম তারিখ দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণি পাশ একই স্কুলের দুইটি জাল সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ১৯/০১/২০১৪ সালে চাকুরীতে এ্যাপার্টমেন্টের সময়ে সার্টিফিকেট একটা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন এ অন্যটা,একই স্কুলের দুই সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এ ধরা পড়লে স্থগিত হয়। এবং তার সরকারি দুইটি ইন্ক্রিমেন্ট স্থগিতাদেশ রয়েছে। তারপরও সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগকরে আসছে একটি মহলের আর্শিবাদে। সামান্য টাকা বেতনে চাকুরী করলেও কাপ্তাইয়ে একটি বড় এমাউন্ডের জায়গা ক্রয় করেছে পংকজ দাস ।তার সহযোগী আসমত ঢালী গত মাসে তার গ্রামের বাড়িতে ৬তলা ভবনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেন। উপ সহকারী প্রকৌশলী, প্রকৌশলী সহ অনেকের নামে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও সেগুলো কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ, গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা চাওয়ার, অতিরিক্ত মিটার রিডিং, মিটারের নতুন ডিসপ্লে বসানো,জাল কাগজপত্রে মিটার প্রদান, চোরাই লাইন প্রদান সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার নিউমুরিং শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশন, ভূমি অধিদপ্তর ও বিপিডিবি”র কর্তৃপক্ষকে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। ভিডিও চিত্র সহ প্রতিবেদন আগামী পর্বে।।