এসেছে পদ্মাসেতুর নতুন মডিউল থ্রি এ’র স্প্যান
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর কাজ। ইতোমধ্যে জাজিরা প্রান্তে সেতুর পৌনে এক কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর ১১টি পিলারের মধ্যে চারটি পিলারের নকশা সমাধান চূড়ান্ত হয়েছে। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে মডিউল থ্রি এ’র একটি স্প্যান চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মংলা বন্দর থেকে জাহাজের মাধ্যমে স্প্যানটি মাওয়ায় আনা হয়। ইতোমধ্যে সাত নম্বর মডিউলের পাঁচটি স্প্যান বসে গেছে। এখন ছয় নম্বর মডিউলের স্প্যান স্থাপনের কাজ চলছে। মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে স্প্যান প্রস্তুত আছে সাতটি। বর্তমানে স্প্যানটি আনলোডের কাজ চলছে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুর মডিউল থ্রি এ’র ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি স্থাপনের জন্য এসেছে। দুই দিন আগে এটি চীন থেকে মংলায় আসে। এরপর জাহাজের মাধ্যমে মাওয়ায় নিয়ে আসা হয়। স্টিলের এসব কাঠামো ফিটিং করে স্প্যান তৈরি করা হয়।
এ কাঠামোর ওপর দিয়ে চলবে গাড়ি ও যানবাহন। ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। প্রথমে স্টিলের কাঠামোগুলো চীনে তৈরি করা হয়েছে। এরপর মংলা বন্দর থেকে জাহাজে করে সেগুলো মাওয়ার নির্মাণ মাঠে আনা হয়। পদ্মাসেতুর একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব হচ্ছে ১৫০ মিটার। সেতুর ১২টি পিলার সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেতুর ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পাঁচটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে পৌনে এক কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় চার মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর মাত্র দেড় মাস পর ১১ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়।
দুই মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। আর পঞ্চম স্প্যানটি বসে এক মাস ১৬ দিনের মাথায়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।