নিঝুম দ্বীপে ৩০ হাজার চিত্রা হরিণের করুণ আর্তনাদ

ডেস্ক : সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় কোমেন এর আঘাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অধিক জোয়ারে হাতিয়া উপজেলাধীন নিঝুম দ্বীপ সহ বিস্তৃণ্য এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে নিঝুম দ্বীপের প্রায় ত্রিশ হাজার চিত্রা হরিণের আশ্রয় ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে খাদ্য সংকট সম্পাদনের লক্ষ্যে নতুন এলাকা বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা জোয়ারের পানিতে ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জরুরী ভিত্তিতে হরিণের খাদ্য উপাদান গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। সরজমিনে দেখা যায় অধিক জোয়ারের ফলে হরিণ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনের ভিতরে মাটি কিল্লা নির্মাণ ও নির্মিত কিল্লা বিশেষ ধরনের গাছ দিয়ে আবৃত করা হলে জলোচ্ছ্বাস থেকে হরিণ রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয়দের ধারণা। কিল্লা তৈয়ারী কাজে যে পুকুর হবে তাতে মিঠা পানির সংকটও সমাধান সম্ভব হবে।
সরকারের ঘোষিত জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চালের ভিতরে কোনো ধরনের গাছ কর্তন ছাড়া ৫০ টির ও অধিক কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা অতীব জরুরী। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে ক্ষতি গ্রস্থদের জন্য সরকার নানা বিধ প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনায়নের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় কোনো প্রকার প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে না। স্থানীয় ভাবে জানা যায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির হাত থেকে জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করার কোটি কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলেও তা চোখে পড়েনি নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলে।
এলাকাবাসীর দাবি নিঝুম দ্বীপে জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য বিশেষ করে চিত্রা হরিণ রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদি ও স্থানীয় কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরী। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD