Breaking News

এবার সাড়া দেশে পাসের হার ৬৯.৬০, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪২৮৯৪ জন

জিটিবি নিউজ ডেস্ক : প্রতীক্ষার অবসান শেষে প্রায় ১১ লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৭৮.৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ পাসের হার শতকরা ৮.৭৩ শতাংশ কমেছে। মেধা নির্ধারণের মাপকাঠি জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন। ফলে গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে ২৭ হাজার ৭০৮ জন।
গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০১৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপরই তিনি ফলাফলের সংক্ষিপ্তসার ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই কলেজের নোটিশ বোর্ড, শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যায়।
উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, মাদরাসা পেছালো, কারিগরি এগুলো
উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ ফলে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে। তবে দৃষ্টিকটুভাবে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। তবে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে।
২০১৫ সালের মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯০.১৬ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৯৪.০৮ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার কমেছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৬৫ জন। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২৫ জন। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৪ হাজার ৫৬০ জন। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর এইচএসসি (বিএম, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুই-ই বেড়েছে। এ বছর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার ৮৫.৫৮ শতাংশ। গতবছর এ হার ছিল ৮৫.০২ শতাংশ। সে হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এ বছর কারিগরি বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৩০ জন। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৯৩ জন। সে হিসাবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ জন।
পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১০ থেকে ১৬ আগস্ট
এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ এর পাশাপাশি কমেছে পাশের হারও। যশোর শিক্ষাবোর্ডেতো রীতিমত বিপর্যয়, পাশের হার ৪৬.৪৫ শতাংশ। এ অবস্থায় যাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল হয়নি, আত্মবিশ্বাস থাকলে করতে পারেন ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন। ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে আগামি ১০ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।
আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ এসব তথ্য জানিয়েছেন। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-চওঘ) দেওয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে।
যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দু’টি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে।
একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD