শাহরাস্তিতে কুমড়ো গাছকে কেন্দ্র করে আহত -৪
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কুমড়োর চারা তুলে ফেলার ঘটনায় ৪ ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ২২ নভেম্বর রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের ঢ়াড়া উত্তর পাড়া, প্রধানিয়া বাড়িতে ঘটে। এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৬) বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ওই বাড়ির মৃতঃ আমিন মিয়ার ছেলে কবির হোসেন নিজেদের জমিতে খড়ের স্তুপ থেকে খড় সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কে বা কারা তাদের জমি থেকে কুমড়ো গাছের চারা তুলে ফেলেছে। কবির হোসেন বিষয়টি একই বাড়ির মৃত আলী আশ্রাফের ছেলে ইসমাইল (২৯) কে জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাদের ডাক-চিৎকারে অন্যান্যরা ছুটে আসলে ঘটে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা। আহতরা হলেন, মৃত আমিন মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০), কবির হোসেন (৩৮), জাকির হোসেন (৩৪), ও শাহাদাত হোসেন (৩১)। এদের মধ্যে গুরুতর ৩জন শাহরাস্তি সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
আহত কবির হোসেন বলেন, আমি আমাদের নিজ জমিনে স্তুপ করা খড় আনতে গিয়ে দেখি কে যেন জমি থেকে কুমড়ো চারাগুলো তুলে ফেলেছে। বিষয়টি আমার চাচাত ভাই ইসমাইলকে জিজ্ঞেস করলে সে তেলে বেগুনে গরম হয়ে আমাকে মারতে তেড়ে আসে। তার এমন উগ্রতা দেখে আমি তাকে আবারও বললাম চারাগুলো কে তুলেছে দেখেছিস। এই কথার সাথে সাথে ইসমাইলের হাতে থাকা রড দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করলে আমি সরে যাই। ওই আঘাত আমার ঘাড়ে পড়লে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরই মধ্যে ইসমাইলের অন্যান্য ভাই নুরে আলম (২৫), দিদার হোসেন (২৩), ইউছুপ (২১), আবদুস সাত্তার (২৭) দৌঁড়ে এসে আমাকে এলোপাথাড়ি রড, বাঁশ, লাঠি দ্বারা আমাকে পিটাতে থাকে। আমার ডাক-চিৎকারে আমার ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে তারাও আহত হয়। এই বিষয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
অভিযোগের বাদী বলেন, তারা আমার স্বামী ও দেবরদের দেশীয় অস্র দিয়ে হত্যা করার উদ্যেশ্যে বেদম প্রহার করেছে। আইনের মাধ্যমে তিনি তাদের কঠোর বিচারের জন্য দাবি জানান।
এলাকাবাসী বলেন, মৃত আলী আশ্রাফের ছেলেদের অত্যাচারে বিগত ১০ বছর এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তারা কাউকে মান্য করে না। মাদক, জুলুম, নারী কেলেংকারী, অর্থ আত্মসাত সহ অসামাজিক কাজে তারা জড়িত। কারও সাথে তাদের একটু কিছু হলেই তারা মামলা হামলার হুমকি ধমকি প্রদান করে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানে জোর দাবি জানান তারা।