পুলিশের অভিযানে প্রতারক চক্রের চার নারি ও দুই যুবক সহ আটক ছয় জন
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলায় নারিদের অভিনব কায়দায় প্রতারনার ফাঁধে নিরহ পুরুষ দিশেহারা, এরা শহরের বিভিন্ন যায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফাঁধ তৈরি করে পুরুষদের বাসায় ডেকে নিয়ে নানাহ অঙ্গ ভঙ্গিতে ভিডিও ধারন করে প্রতারণার জাল পেতে ওই সব ফাঁধে পড়া মানুষদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেবার প্রতারনা করে আসছে বিগত দিন ধরে, আর ওই সব প্রতারক নারিদের সহযোগী হিসেবে কিছু যুবক কাজ করে যারা আত্বিয় পরিচয় দিয়ে বন্দুু বান্ধবদের নিয়ে ওই সব নারিদের বাসায় নিযে গিয়ে অশালীন ভিডিও ধারন করে প্রতারনা করে,
তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদের নির্দেশে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৪ নারি সহ ২ যুবক কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক কৃত আসামী ১। তাসলিমা জাহান জেরিন, ২। হাসিনা বেগম, ৩। সাদিয়া বেগম, ৪। মোঃ মোস্তফা ও সন্ধিগ্ধ আসামী ৫। কাজল খান, ৬। আয়েশা আক্তার নিপাদের অদ্য রাত ০৪.০০ ঘটিকা হইতে ০৭.০০ ঘটিকার মধ্যে এদের আটক করতে সক্ষম হয় বলে ওসি তদন্ত শিমূল কুমার বড়ুুয়া জানান।
তিনি আরো বলেন একটি অপরাধের ভিত্তিতে বাদী মোঃ মাইনুল ইসলাম(৩৩) অভিযোগ করেন যে, তাহার দোকানের পাশে ০৪নং বিবাদীর হার্ডওয়ার দোকান আছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়া বাদীর সাথে তাহার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। উক্ত মনোমালিন্যর কারনে ০৪নং বিবাদী ০১নং বিবাদীর সাথে যোগসাজসে বাদীর ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। গত ০৭/০৫/২০২১ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বাদী চাঁদপুর পৌরসভাস্থ সেবা সিটি সেন্টারে এসির কাজ করাকালীন তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৮৩৩-৬৪৬২১৯ তে মোবাইল নম্বর ০১৯৫১-৬২৭২৪৮ হইতে ০১নং বিবাদী ফোন করিয়া বাদী কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করে। বাদী তাহাকে চাঁদপুর শহরস্থ সেবা সিটি সেন্টারে আছি মর্মে জানায়। তখন ১নং বিবাদী বাদীকে তাহার বাসার নষ্ট ফ্রিজ মেরামত করিয়া দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করে ও গত ০৭/০৫/২০২১ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় ১ ও ২নং বিবাদী সেবা সিটি সেন্টারের সামনে যাইয়া বাদীকে তাহাদের সাথে ঘটনাস্থল চাঁদপুর সদর থানাধীন আলিমপাড়াস্থ ৩নং বিবাদীর ভাড়া বাসায় ড্রীম হাউজের ৩য় তলা পূর্ব পাশের্^র ইউনিটে নিয়া যায়। কিছুক্ষন বাদীকে বসিয়ে রাখার পর দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় ১,২ ও ৩নং বিবাদী বাদীকে পানি পান করার জন্য বারবার বলিলে বাদী রোজা রাখায় পানি পান করিতে অস্বীকার করি। তখন ৫, ৬, ৭ ও ৮নং বিবাদীগণ ঘটনাস্থল বাসার ভিতর প্রবেশ করিয়া জোর পূর্বক বাদীর গায়ের শার্ট ও কোমরের বেল্ট খুলিয়া ৬নং বিবাদীর মোবাইলের মাধ্যেমে ভিডিও ধারণ করিতে থাকে এবং ১নং বিবাদী বলে যে, বাদী তাহার সাথে খারাপ কাজ করিয়াছি সে জন্য বিবাদীদেরকে ৫০,০০০/-টাকা চাঁদা দিতে হবে, নতুবা ধারনকৃত ভিডিও বাদীর স্ত্রীর নিকট পাঠাইয়া পরিবারের অশান্তি সৃষ্টি করিবে। তখন বাদী বিবাদীদেরকে অনেক অনুরোধ করার পরও বিবাদীগণ টাকা ছাড়া বাদীকে ছাড়বে না বলিয়া জানায় এবং ৫নং হইতে ৮নং বিবাদীগন চড় থাপ্পর মারিতে থাকে। একপর্যায়ে বাদী নিরুপায় হইয়া বিবাদীদের ভয়ে তাহাদের চাহিত চাঁদা বাবদ বাদীর প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১০,০০০/- টাকা ১নং বিবাদীর হাতে দিলে বিবাদীগণ বাদীকে দরজা খুলিয়া বাসা হইতে বাহির করিয়া দেয়। উক্ত বিষয়ে চাঁদপুর সদর থানার মামলা নং- ২৩,তাং- ১১/০৫/২০২১ইং ধারা- ৩৪২/৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/১০৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করিয়া তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব সুজন কান্তি বড়–য়া এর উপর অর্পন করিলে তিনি উপরোক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন।