#কেন_শিক্ষা_প্রতিষ্ঠান_খােলা_ফরজ। – খন্দকার ইসমাইল
নিউজ ডেক্স
#প্রায় ৯ মাস কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম চলেছিল। তাদের বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠানেই ফ্লোরে ঘেষাঘেষি করে বসিয়ে পাঠদান করা হয়। অাল্লাহর রহমতে কােন সমস্যা হয়নি।ঐ নয় মাস যদি একই ভাবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হত, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করা যেত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বর্তমান প্রজন্ম ৯০% জিবন্ত লাশে পরিণত হয়েছে। অনেক স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে। এই মেধাহীন জাতিকে নিয়ে পরবর্তীতে দেশকে চরম সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে। যে ক্ষতি হয়ত কখনো অার পূরণ করা যাবেনা।অনলাইন ক্লাস না হলে সামর্থ্য বান অভিভাবক যারা তারাও অনেকে ছেলে মেয়েকে ইন্টার পাশ করার অাগে মোবাইল দিতেননা, দরিদ্র পরিবারতো প্রশ্নই উঠেনা। কিন্তু করোনা কালে অনলাইন ক্লাসের নামে সিক্সের বাচ্চাকেও অভিভাবকরা মোবাইল দিতে বাধ্য,হয়েছে। দরিদ্র পরিবার গুলি সুদে টাকা ধার /এনজিও থেকে লোন নিয়ে অনলাইন ক্লাসের জন্য বাচ্চাদের স্মার্ট ফােন কিনে দিতে ,হয়েছে। এতে লাভতো কিছুই হয়নি হয়েছে ক্লাসের নামে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা গেইম খেলে এমন অাসক্ত হয়েছে যা একজন হিরোইন সেবনকারির চেয়ে ভয়ঙ্কর। যেমন কােন ব্যাক্তি হিরোইন হাতে রেখে যদি হিরোইন সেবীকে না দেয় তাহলে ঐ হিরোইনসি ঐ লোককে খুন করতে ১ মিনিট ও দেরী করবেনা হউক তার মা কিংবা বাবা। অামাদের বাচ্চারাও মোবাইলে গেম খেলে এখন এই পর্যায় চলে গেছে। তারা মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে। বিটিঅারসি গেইম অপশন গুলি বন্ধ করলে বাচ্চারা লেখাপড়া না করলে অন্ততঃ মানসিক রোগী হওয়া থেকে রক্ষা পেত। এই দায় কার? অনেক ছেলেরা বাসায় থাকতে থাকতে এক গেয়েমি হয়ে যাওয়ায় তারা বাহিরে গিয়ে অাড্ডা দিতে দিতে কেউ হয়েছে মাদকাসক্ত কেউ হয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।অনেক ছেলে মেয়ে অপরিনত বয়সে প্রেমে পড়ে নৈতিক স্খলন ঘটেছে। যা সমাজের জন্য মারাত্মক ক্যান্সার। নিস্ন বিত্ত অার দরিদ্র পরিবারের ছেলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দিয়ে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন গ্যারেজ সহ বিভিন্ন হোটেল কারখানায় কর্মে অার মেয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে দিচ্ছেন শিশু বয়সেই বিয়ে। এদের মধ্যে অনেকে অাছে মেধাবী তাদের অনেকের অনেক স্বপ্ন ছিল বেসরিক করােনার অাগমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অামাদের দায়িত্বহীনতা তাদের সেই স্বপ্নের মৃত্যু,ঘটিয়েছে। কে দিবে তার জবাব। এটা একদম অামার চলার পথে বাস্তব ঘটনার চিত্র তুলে ধরলাম।
#ইউরোপের দেশ গুলি সহ অামাদের পার্শ্ববর্তী ভারতের অাসাম,মেঘালয়, পাঞ্জাব সিন্ধু এমনকি দিল্লীতেসহ বহু,রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলা ছিল।অামি জুলাই/২০ মাসে একটি পােস্ট করে বলেছিলাম প্রতি ক্লাস অর্থাৎ সিক্সে যদি ৬০ জন ছাত্র থাকে তিন ভাগ করলে ২০ জন হয়, তাহলে তাদের এক বেঞ্চে একজন বসিয়ে সপ্তাহে প্রতি গ্রুপকে দুই দিন ক্লাস করানোর প্রস্তাব করেছিলাম। তাহলেও অন্ততঃ শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার মধ্যে থাকত।
#চাঁদপুরে ৪/৫ দিন অাগে পাবজি খেলার জন্য এমবি কিনতে ৫০ টাকা না দেওয়ায় নাইনে পড়া কিশোর অাত্মহত্যা করেছে।এমন অনেক ঘটনা সারা বাংলাদেশে ঘটছে হয়ত ১০০ ঘটনার একটিও খবর হয়না। তাই সবাই নিকট অনুরোধ অাসুন পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে সােস্যাল মিডিয়ায় সবাই এই বিষয়ে পােস্টটি শেয়ার, কপি পেস্ট করে অথবা নিজের মত করে লিখে সংম্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে অানার জন্য,চেষ্টা করুন।