মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ পিতা আটক
নিউজ ডেক্স
নাগেশ্বরীর কচাকাটায় সাত বছরের কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সৎ পিতাকে আটক করা হয়েছে। সে সাথে মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় কচাকাটা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ডের পরশুরামেরকুটি গ্রামের মিলন বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদি হয়ে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পরশুরামের কুটি (শাহিবাজার) গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শেখের ছেলে চান মিয়া (কবিরাজ) এক কন্যা সন্তানসহ দ্বিতীয় বিবাহ করেন। মেয়েকে নিয়ে চাঁন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী পরশুরামের কুটি (শাহিবাজার) গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় থাকত। মাঝে মধ্যে চাঁন মিয়া সেখানে যাওয়া আসা করত। মেয়েটি ছোট হওয়ায় চাঁন মিয়া এলেও মেয়েটির মা তাকে নিয়ে একই বিছানায় রাত্রি যাপন করত। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে এক বিছানায় ঘুমান তিনজন। ভোর সাড়ে ৪টার (বৃহস্পতিবার ২৭মে ) স্ত্রী বিছানা ছেড়ে রান্না করতে গেলে সৎ মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে চানমিয়া।
সকালে (বৃহস্পতিবার ২৭মে ) এই অনৈতিক কাজের বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলে মেয়েটি। বেশকিছুদিন থেকে সৎ বাবা এরকম আচরণ করে আসছে বলেও মায়ের কাছে অভিযোগ করে মেয়েটি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীকে আসামি করে কচাকাটায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা এবং অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা পরবর্তীতে রাতেই অভিযুক্ত চানমিয়াকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এ.এস.এম সায়েম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মাহাবুব আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃত চানমিয়াকে আজ সকালে (শুক্রবার ২৮ মে) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। যেহুতু ধর্ষণ চেষ্টা সেহুতু ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষার প্রয়োজন নেই। তাকে মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। রবিবার ১৬৪ ধারায় জবান বন্দির জন্য ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হবে।