হানারচরে মেঘনার ভাঙন রক্ষা বাধে ফাটল

হানারচরে মেঘনার ভাঙন রক্ষা বাধে ফাঁটল

জসিম উদ্দিন মিলন

চাঁদপুর সদর উপজেলা হানারচর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এলাকার মানুষদের নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শতকোটি টাকা ব্যয় করে প্রকল্পের মাধ্যমে নদী তীরবর্তী রক্ষা বাঁধ করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক তদারকি না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করার কারণে ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী ব্লক গুলো হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানাগেছে, হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী বাঁধ সংরক্ষণে ৮৫০ মিটার কাজ চলমান রয়েছে।কয়েকটি প্যাকেজের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নদী তীরবর্তী রক্ষা বাঁধের কাজ করানো হচ্ছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে কাজ সম্পন্ন করে তাদের বিল উত্তোলন করার পায়তারা করছে।

হরিনা ফেরিঘাট সংলগ্ন দুপাশে নদী রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী ব্লগগুলো ইতিমধ্যে হেলে পড়তে দেখা গিয়েছে। ব্লকের চারপাশে সিমেন্ট বালু দিয়ে প্লাস্টার করার কথা থাকলেও তারা সেটি করেনি ও তীরবর্তী ব্লগ গুলোর নিচে সিলেকশন বালু দিয়ে সেগুলো বসিয়ে পাশে বালির বস্তা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা করেনি।

নদীর ঢেউ ও বৃষ্টির পানিরে ব্লকের চারপাশ দিয়ে ঢুকে নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে ইতিমধ্যেই ব্লগগুলো হেলে পড়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকা দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হাজারো বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গিয়ে এলাকার মানুষ ঘর বিটা হারিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে। মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার নদীর বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক দুর্নীতি করে একাজগুলো তড়িঘড়ি করে তাদের বিল উত্তোলন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার কারণে ইতিমধ্যেই নবনির্মিত বাঁধের তীরবর্তী ব্লগগুলো মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়েছে।

এছাড়া বালুর বস্তা ডাম্পিং ও ব্লক ফেলানো অনেকটা কম হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। এই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ও পুনরায় অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান স্থানীয় জনগণ।চাঁদপুর হানারচরে হেলে পড়েছে মেঘনার ভাঙন রক্ষা বাধের ব্লক
চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলা হানারচর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এলাকার মানুষদের নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শতকোটি টাকা ব্যয় করে প্রকল্পের মাধ্যমে নদী তীরবর্তী রক্ষা বাঁধ করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক তদারকি না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করার কারণে ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী ব্লক গুলো হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানাগেছে, হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী বাঁধ সংরক্ষণে ৮৫০ মিটার কাজ চলমান রয়েছে।কয়েকটি প্যাকেজের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নদী তীরবর্তী রক্ষা বাঁধের কাজ করানো হচ্ছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে কাজ সম্পন্ন করে তাদের বিল উত্তোলন করার পায়তারা করছে।

হরিনা ফেরিঘাট সংলগ্ন দুপাশে নদী রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী ব্লগগুলো ইতিমধ্যে হেলে পড়তে দেখা গিয়েছে। ব্লকের চারপাশে সিমেন্ট বালু দিয়ে প্লাস্টার করার কথা থাকলেও তারা সেটি করেনি ও তীরবর্তী ব্লগ গুলোর নিচে সিলেকশন বালু দিয়ে সেগুলো বসিয়ে পাশে বালির বস্তা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা করেনি।

নদীর ঢেউ ও বৃষ্টির পানিরে ব্লকের চারপাশ দিয়ে ঢুকে নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে ইতিমধ্যেই ব্লগগুলো হেলে পড়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকা দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হাজারো বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গিয়ে এলাকার মানুষ ঘর বিটা হারিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে। মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার নদীর বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক দুর্নীতি করে একাজগুলো তড়িঘড়ি করে তাদের বিল উত্তোলন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার কারণে ইতিমধ্যেই নবনির্মিত বাঁধের তীরবর্তী ব্লগগুলো মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়েছে।

এছাড়া বালুর বস্তা ডাম্পিং ও ব্লক ফেলানো অনেকটা কম হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। এই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ও পুনরায় অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান স্থানীয় জনগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD