যশোর জেলাতে চলমান বিধিনিষেধ আরো ৭ দিন বাড়লো

যশোর জেলাতে চলমান বিধিনিষেধ আরো ৭ দিন বাড়লো

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম যশোর প্রতিনিধি

মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে যশোরের চলমান বিধিনিষেধ আরো সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৩ জুন বুধবার রাত ১২.০১ টা থেকে ৩০ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান। তিনি জানান, বিধি-নিষেধ চলাকালীন যশোর জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে এবং আন্তজেলা বাস, ট্রেন ও সকল প্রকার গণপরিবহণসহ সিএনজি, রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, থ্রিহুইলার, হিউম্যান হলার চলাচল বন্ধ থাকবে।

তবে এ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। কাঁচাবাজার, ফুল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা ধাকবে। এছাড়া সকল ধরণের দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরা, চায়ের দোকান, বিপণীবিতান বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে।

আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য, দুগ্ধ পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বেনাপোল স্থলবন্দরে জরুরি আমদানি-রপ্তানি, নওয়াপাড়া বন্দরের সার সরবরাহসহ অন্যান্য কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা,

ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, স্থানীয় সরকারের অধীন অফিসসমূহ, সরকারি অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারি ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভুত থাকবে। সবাইকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে।

অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। শিল্প-কলকারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।

শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। সকল পর্যটনস্থল, পার্ক, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন ধরণের সামাজিক (বিবাহ, জন্মদিন, পিকনিক, হালখাতা, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ওয়াক্তের নামাজ মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ৫ জন ও জুম্মার নামাজ সর্বোচ্চ ২০ জন জামাতে আদায় করবেন। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও এর বেশি জমায়েত হওয়া যাবেনা। সকল জরুরি নির্মাণ কাজ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলমান থাকবে এবং এ সংক্রান্ত পণ্য পরিবহন বিধি নিষেধের আওতাবহির্ভুত হবে। জেলার সকল গরুর হাট বন্ধ থাকবে।
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD