:গ্রাম পুলিশের গল্প অমিত -পর্ব তিন
কক্সবাজার
_________________________
বাড়ি যেতে যেতে রাত প্রায় নয়টা বেজে গেলো ।গ্রাম পুলিশ অমিত বাড়ির সীমানায় পা রেখে ভাবছে আজকের ডিউটি মনে হয় শেষ।ঘরের কাছে অরতাৎ উঠানে যখন পা দিলো তখন এই কথা ভাবছে ।হটাৎ অমিতের ছোট মেয়ে জুলির কান্না শুনতে পায় অমিত ।:, মা বাবা আসছে না কেনো,চকলেট না খেয়ে আমি ঘোমাবো না ।অমিতের বউ রত্না রানি, বার বার মেয়ে কে ঘোমানোর চেষ্টা করছে।চুপ করে করে দাড়িয়ে আছে উঠানে গ্রাম পুলিশ অমিত ।উঠানে খোলা আকাশের নিচে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে , আর দীর্ঘ শ্বাস ফেলছে আকাশের দিকে চেয়ে ।হটাৎ দরজা খোলে কে যেনো বাহিরে বের হচ্ছে ।অমিত বুঝতে পেরে পিছু হেঁটে ঝোপের আড়ালে গিয়ে বসলো।আড়ালে থেকে দেখলো তা বউ একা বাহিরে বের হয়ে বারান্দায় বসে ভার ভার তার অপেক্ষা করছে।দেখা দিতে পারতো অমিত, কারণ একটা সেটা হলো বাচ্চা কে চকলেট আনার টাকা ছিলো না , এখন বাচ্চা নিশ্চয়ই অমিত কে দেখা মাত্র কি করবে সেটা আর কি লিখবো, যেমন আপনার সোনামণি যা করবে তাই ।প্রায় রাত বারোটা বেজে গেলো অমিতের বনের আড়ালে ঝোপের মধ্যে ।এদিকে রত্না রানি স্বামীর পথ চেয়ে বারান্দায় বসে আছেন।হটাৎ রত্না মেয়ে টি কে ডেকে দেখলো ঘুমিয়ে গেছে।ঘরে নিয়ে বেডে রেখে আবার বারান্দায় বসেই অপেক্ষা, অমিতের শরীরে যেমনি মশা তেমনি তো পেটের ক্ষুধায় অস্থির ।বেড়িয়ে আবার উঠানে গিয়ে দাড়িয়ে রত্না কে বললো; রত্না তোমি এখনো ঘোমাও নি।রত্না:তোমাকে বাহিরে রেখে আমি ঘুমাতে পারি বলো অমিত।শরীরে এতো কাঁদা দেখে রত্না জিজ্ঞেস করলো এ কি , অমিত বললো ওটা কিছু না কাঁদা রাস্তায় হাঁটা তো।চলো ঘরে আগে গোসল করি, তার পর কি খেয়ে বিস্তারিত বলি।খেতে বসে একটি মাত্র আলু সিদ্ধ, সারাদিন উপোস এছাড়া কিছু বলার নাই।বলতে গেলে ছোট মেয়ে টা যদি ঘোম ভেঙ্গে যায় চকলেট দিতে হবে।খেয়ে শরীর তো সারা দিনের ক্লান্তি ।বেডে বালিশের ওপর মাতা রাখতে অমিতের দু চোখ বন্ধ হতে যাচ্ছে, এমন সময় রত্না বললো কি গো শুনছো চাউল নেই সকালের।বড় মেয়ে টার পরীক্ষার ফি: বেতনের জন্য আজ স্কুলে যাচ্ছে না।এখন কি রকম ঘুম হবে নিশ্চয়ই বন্ধুরা আপনারা বুঝতে পারছেন ।শেষ হলো একটি দিনের ডিউটি মাত্র গ্রাম পুলিশ অমিত সরকারের।
চলমান পর্ব তিন