:গ্রাম পুলিশের গল্প । অমিত – পর্ব চার
সিলেট প্রতিনিধি
_______________________
পাখির ডাকে ধনী লোখের ঘুম ভাঙ্গে, গ্রাম পুলিশ অমিতের গুম ভাংলো ছোট মেয়ে জুলির কান্নার সূরে, বাবা চকলেট, বাবা চকলেট ।অমিত কি করবে ,বলুন আপনারা (নিরভে সহিতে হয় নিঘুর যন্ত্রণা )অমিত ভেবে কোনু দিক না পেয়ে, এক গ্লাস জল পান করে সার্ট গায়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলো সকাল সাতটায়।কোথায় যাবে, রাস্তার পাশে আজ কাল অনেক চা দোকান থাকে ।শীতের সকালে হাঁটছে, আর ভাবছে,আমি হেঁটে হেঁটে সময় যাচ্ছে । কিন্তু ,রত্না তো বলে ছিলো বড়ো মেয়ের স্কুলের টাকা দিতে,তাছাড়া ঘরে চাউল তরকারি কিছুই নেই,এমনকি শিশু মেয়েটি যে ভাবে গুম থেকে উঠে চকলেট বলে কাঁদছে ।ভাবছে অমিত, একটি চা দোকানে বসলো ।চা অর্ডার দেওয়ার ক্ষমতা নেই অমিতের, পাশে বসে থাকা এক জন কি সকিদার সাব এতো সকাল কোথায় যাবেন।অমিত মিথ্যা না বলে সত্য কথা বললো, ভাই আমাকে আমার শরীরের কাপড় আর হাতের লাঠি যে দিকে নিয়ে যাবে সেই দিকে যাচ্ছি ।মজা একটু হলো, অপর লোকটি বললো তা হলে আপনি এখানে বসলেন কেন ।সেটা ও কি কাপড় ও লাঠির কাজে নাকি, অমিত বললো হে ভাই, আজ এই গ্রাম পুলিশের কাপড় এবং হাতের লাঠি আমাকে আজ সকালে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।পাশের লোকটি ভয় পেয়ে অন্য কিছু ভাবলো,যাক এর মধ্যে এক কাপ চা একটি বিস্কুট কিন্তু অমিত পেয়ে গেছে, আলাপ হলো দুজনের প্রায় সকাল দশটা, হটাৎ গত দিনের পুলিশ, এস আই সাহেব ফোন দিলেন , অমিত কুইক আমার সাথে দেখা করো।পাশে লোকটি বললো নিশ্চয়ই ভাই পুলিশের ফোন।অমিত :হে ভাই, তবে সমস্যা একটি, আমি বাড়ী থেকে শূন্য হাতে বেরিয়ে এসেছি।পারলে বিশ টাকা ঋন দেন, বিকেলে দিয়ে যাবো।সকিদার হলে ও তো পুলিশের পোষাকের মতো , এটাই ভেবে পাশে বসে থাকা লোখটি একশো টাকার একটি নোট দিয়ে বললো ভাই আজ দেওয়া লাগবে না, আপনি যেই দিন পারেন সেই দিন দিবেন।বিদায় নিয়ে অমিত গ্রাম পুলিশ একটি সি এন জিতে উঠে উপজেলার পুলিশ অফিসে রওনা দিলো ।মনে মনে কিছু টা হলে আনন্দ আসছে গ্রাম পুলিশ অমিত সাহেবের,কেনো আনন্দ সেটা আপনারা বেশি ভালো জানবেন।গাড়ি চলছে, মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা বাকি উপজেলার পুলিশ অফিসে পৌঁছাতে ।এর মধ্যে নতুন একটি নাম্বারে ফোন, ফোন টা রিছিব করার আগ মুহুর্তে ও অমিত হাসি খুশি অবস্থা ছিলো, যখনই ফোন রিছিব করলো গাড়ির শব্দে পুরো না শুনে অমিত ভার ভার বলছে এক মিনিট পরেই ফোন দিচ্ছি গাড়ি থেকে নেমে ।ফোন কেটে দিয়ে ও একটু টেনশনে হলে ও অমিত হাসি মাখা মুখ , হয় কোন জায়গায় ঝামেলা বা ঝগড়া হচ্ছে এজন্য কেউ ফোন দিচ্ছে ।এসব ভাবছে গ্রাম পুলিশ অমিত সরকার।পুলিশ অফিসে পৌছে গিয়ে sir এর রুমে গিয়ে sir দেখে অমিত একটি সেলুট দিয়ে দাড়ালো । sir খুব ভালো মনের মানুষ, sir উন্নত মানের নাস্তা করছেন উনার প্রাইভেট রুমে বসে।অমিত বসো নাস্তা খাইছো, অমিত হে হে,বলতে না বলতে এস আই সাহেব বললেন বুঝতে পারছি নাস্তা করছো না,একজন লোক ডেকে এনে অমিত কে আরেকটা নাস্তার প্লেট আনতে বললেন ।যেমনি কথা এমনি কাজ পুলিশ বলে কথা, এক মিনিট এর মধ্যে নাস্তা হাজির, অমিত কে খেতে বললেন sir/হাত ধুয়ে খাওয়া প্রায় আরম্ভ করছে অমিত, এস সাহেব বলছেন, অমিত তুমাকে ধন্যবাদ, গতকাল যদি সঠিক তথ্য আমাকে না দিতে বাইট হালি গ্রামের অনেক মানুষ মারামারি করে মারা যেতো।অমিত শুনছে আর নিজেকেই ধন্য মনে করছে ।ইতি মধ্যে একটু নাস্তা মুখে দিয়ে কামর দিতে না দিতেই আবাল অমিতের ফোন বেজে উঠল ।মুখে খাওয়া নিয়ে অমিত নাম্বার দেখলো, আবার ভাবলো কমপক্ষে নাস্তা করার পর ফোন রিছিব করবে , কেঠে দিলো ফোন।আবার কল আসলো, sir বলছেন অমিত রিছিব করে খেয়ে খেয়ে আলাপ করো।অনুমতি পেয়ে অমিত ফোন রিছিব করলো, হইচই, কান্নার রোল,রত্না রানি বলছে, ওগো তুমি ফোন রিছিব করছো না কেনো ।আমাদের জুলি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে তুমি চকলেট নিয়ে আসতে কোথায় গেলে,,,,,অমিতের মুখের খাওয়া মুখে রইলো, হাত লাগানো প্লেটের মধ্যে, চোখের জলে বিজে যাচ্ছে দুটো চোখ,এদিকে মোবাইলে কথার শব্দ শুনতে পেয়ে এস আই সাহেব অমিতের দিকে চেয়ে নিজেকে ও ঠিক রাখতে পারছেন না।অমিত খাওয়া ফেলে sir কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।আর গত দিনের সব কথা বলতে শুরু করলো।একজন বাবা আমি সরকারী পোশাক গায়ে আমার , আমি বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশের সদস্য ।কান্নার রোল শুনে প্রায় থানার সব পুলিশ সদস্য রা উপস্থিত হলেন, এবং অমিত কে শান্তনা দিলেন।এবং কেউ কেউ কিছু টাকা হেল্প করছেন।
ধারাবাহিক পর্বের আজ চার পর্ব প্রকাশ