চাঁদপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

চাঁদপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার আলোচিত রেহান উদ্দিন মিজির ক্লুলেস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী খোরশেদ আলম(২৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১’লা জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন
এর আগে খুনের মামলার পরেই পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ দ্রুত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন ও চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। নির্দেশনার ১ সপ্তাহের মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও ফুটেজের ছবি দেখে সংঘটিত ঐ রেহান উদ্দিন মিজির চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামীকে পুলিশ খোরশেদ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ব্যপারে প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, জুয়া খেলায় হেরে যাওয়ার ক্ষোভ থেকেই রেহান উদ্দিন মিজিকে ধারালো লোহার দা দিয়ে মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করে আসামী খোরশেদ আলম। পরে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে পলাতক খোরশেদ আলম কে প্রফেসর পাড়া সাধন গাজীর মেস থেকে গ্রেফতার করি।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ আরও বলেন, আসামীর দেওয়া তথ্য মতে আমরা খুনে ব্যবহৃত দা, মৃত ব্যক্তির রক্তমাখা লুঙ্গি, ১টি গেঞ্জি, তাস, ১টি লাইটার, বেনসন সিগারেটের প্যাকেট ও ১টি নীল রঙ্গের মাস্ক আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছি।গ্রেফতারকৃত আসামী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি গরু চুরির মামলা রয়েছে। সে মূলত লক্ষিপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শেফালী পাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে। আমরা তাকে বিকালে ১৬৪ ধারায় স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করবো।

এই প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, ডিআইও ওয়ান তোতা মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ২৩শে জুন বিকালে শহরের নিউ ট্রাকরোড খান বাড়ী সড়কের তামান্না শারমিন ভিলার ৩য় তলার ভাড়াটিয়া রেহান উদ্দিন মিজি (৫৫) নির্মমভাবে খুন হন। ঐ ঘটনায় সদর মডেল থানা পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে মামলা হয়। মামলা নং-৬১/৩৬৮। তাং-২৪/০৬/২০২১। ঐ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তামান্না শারমিন ভিলার দারোয়ান ও নিহতের ২য় স্ত্রীসহ সন্দেহজনক ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছিলো। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের কোন সম্পৃক্ততা না থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD