Breaking News

২২ নভেম্বর থেকে সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা শুরু

ঢাকা: আগামী ২২ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে সমাপনী ও ইবতেদারী পরীক্ষা-২০১৫ শুরু হচ্ছে। শেষ হবে আগামী ২৯ নভেম্বর। প্রাথমিক ও ইবতেদারী মিলে ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে।

এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩ জন পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং এবতেদারী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

বুধবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং কালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সারাদেশে ৭ হাজার ৫২টি কেন্দ্রে এবার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবেতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে ৬৪টি জেলাকে ৮টি গ্রুপে বিভক্ত করে প্রশ্নপত্র বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তার সার্স্বে জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং তা সংশ্লিস্ট থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে সংশ্লিস্ট প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবের নিকট পৌঁছে দেয়া হবে।’ দুর্গম এলাকার ৩৭৬টি কেন্ত্রে বিশেস ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান।

প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে যে সব অশুভ চক্র বা গোষ্ঠী প্রতারণা করে থাকে তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’

এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সামগ্রিক কার্যক্রম দেখভালের জন্য অত্র মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর- ৯৫১৫৯৭৭ ও  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর- ৫৫০৭৪৯৩৯। সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরে ফোন করে সংগ্রহ করা যাবে।

শিক্ষানীতি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে এ সম্পর্কে  জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কার্যক্রম বসে নেই।’ ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান।

২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে ৮ম শ্রেণীতে রুপান্তরিত বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তিনটি ক্লাসরুম বৃদ্ধি করা। এছাড়া চেয়ার, বেঞ্চ, টেবিল ও শিক্ষক নিয়োগ তো রয়েছে। এসব নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হলে সময়ের প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD