Breaking News

গাড়ির গতি মাপার যন্ত্র কিনল ব্যারাকপুর কমিশনারেট

যানজটে জেরবার রাস্তা। জট কাটলেই অ্যাক্সিলারেটরে চাপ দেন চালক। দ্রুত পথ পেরোতে ঘটে যায় অঘটন। এই সব বেপরোয়া গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করতে এ বার ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকাতেও শুরু হল গাড়ির গতি মাপার কাজ।

এত দিন গতি মাপার কাজটা মূলত চোখে দেখেই হত। এর পরে ওয়াকিটকিতে খবর চলে যেত আধ কিলোমিটার দূরে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে স্পট ফাইন নেওয়া হত।

এ বার চালকের অজান্তে পথের আঁকেবাঁকে, গাছ বা খুঁটির আড়াল থেকে গতি মাপার যন্ত্রে চোখ রাখবে পুলিশ। তার পরেরটা অবশ্য হবে চেনা ছবির মতোই। এ জন্যে কমিশনারেটের হাতে এসেছে দু’টি পোর্টেবল যন্ত্র। আপাতত পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। এর পরে বাড়ানো হবে যন্ত্রের সংখ্যা।

ছোট আকারের এই যন্ত্র দেখতে অনেকটা পুরনো বক্স ক্যামেরার মতো। তেপায়ার উপরে রাখা এই যন্ত্রে দৃশ্যমানতার মধ্যে থাকা প্রতিটি গাড়ির প্রতি সেকেন্ডের গতি ভেসে ওঠে। সেটি রেকর্ডও হয়ে যায়। দূর থেকে দেখলে মনে হবে পূর্ত ও সড়ক বিভাগের কর্মীরা রাস্তা মাপছেন।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় আগেই নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। কিন্তু নতুন এই যন্ত্র নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে না। কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করবেন ট্র্যাফিক পুলিশ। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র বলেন, ‘‘এক জায়গায় যন্ত্র থাকলে অধিকাংশ চালক সেখানেই শুধু গতি কমিয়ে দেবেন। তাই এই ব্যবস্থা।’’

ডিসেম্বরের শেষে এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। এর মধ্যেই ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে সাড়া ফেলেছে যন্ত্রটি। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, হেলমেট ও গাড়ির অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ ছাড়া গাড়ি চালানোয় ধরা পড়ে যে জরিমানা দিতে হয়, তার থেকে অনেক বেশি জরিমানা আসছে এই গতি মাপার যন্ত্র বসিয়ে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা জানান, এই ধরনের আরও কয়েকটি যন্ত্র কেনার পরিকল্পনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD