Breaking News

দুর্ব্যবহারের অভিযোগ হাসপাতালে

অনলাইন ডেস্কঃ বহির্বিভাগে দেখা মেলে না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের, অন্তর্বিভাগে দুর্ব্যবহার করেন স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা— রোগীর পরিজনদের তরফে এমনই জোড়া অভিযোগ উঠেছে। আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক।

এই হাসপাতালের উপরে শুধু পশ্চিম বর্ধমানই নয়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা নির্ভর করেন। ঝাড়খণ্ডের এক গ্রাম থেকে আসা রোগীর পরিজনের অভিযোগ, রোগী নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। কারণ ‘আউটডোরে’ না কি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এমনই নানা অভিযোগ ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার রোগীর পরিজনদের ও নানা গণসংগঠনকে হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাসকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে সরব হন শাসক দলের কাউন্সিলরেরাও।

গত ১৮ নভেম্বরই এই হাসপাতালে গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁরা জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসককে ‘কল বুক’ করা হলেও সময় মতো তাঁর দেখা মেলেনি। এ ছাড়া বছর দুয়েক আগে এক শিশুর ডান হাতে টুর্নিকেট বাঁধা ও তা খুলতে ‘ভুলে যাওয়া’র অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ হাত কেটে বাদ দিতে হয় শিশুটির।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ ছাড়া কথায়কথায় স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা দুর্ব্যবহার করছেন, এমনও বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে সুপার নিখিলবাবুর কাছে। সম্প্রতি রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই অভিযোগগুলি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সুপার নিখিলবাবু বলেন, ‘‘দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের ঠিক সময়ে এসে রোগী দেখাটাও নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন উনি।’’

রোগীর পরিজনদের দাবি, বহির্বিভাগে চিকিৎসক না বসার সমস্যাটা সবথেকে বেশি সাধারণ ও স্ত্রী-রোগ বিভাগে। অভিযোগ, অধিকাংশ সময়ে এই দু’টি বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসকের বদলে রোগী দেখছেন ‘ডিপ্লোম্যাট ইন ন্যাশনাল বোর্ড’ (ডিএনবি) পাঠরত চিকিৎসকেরা। যদিও অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) শঙ্খ সাঁতরার দাবি, ‘‘এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। আমি নিশ্চয় খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

শঙ্খবাবু আরও জানান, ‘গ্রিনসিটি’ প্রকল্পে আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসাপাতালের সৌন্দর্যায়ন করা হবে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো হবে। জেলা হাসপাতালের পার্কিং সমস্যারও সমাধান করা হবে বলে তাঁরা আশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD